সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2014 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আসুন খাদে নামি

শচীন তেন্ডুলকার কে আপনারা সকলেই চেনেন। অনেকেই এটাও জানেন যে একদিনের ম্যাচে প্রথম সেঞ্চুরীটি পেতে শচীনকে ৭৯ টি ম্যাচ অপেক্ষা করতে হয়েছিল। না, এটা ক্রিকেট বা শচীনকে নিয়ে কোনো লেখা নয়। এটা খাদ নিয়েই। কৌশিক গাঙ্গুলীকে চিনি বহু আগে থেকে যখন তিনি টেলিফিল্ম বানাতেন, সেই সময় থেকেই। এই রে, চিনি বলতে আপনি আবার এটা ভেবে বসবেন না যেন যে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি। মোটেই তা নয়। চিনি মানে তার নাম জানি, তার ছবি দেখেছি। সত্যি বলছি অখাদ্য। পাতে দেওয়া যায় না। দুর্বল গল্প। দুর্বল চিত্রনাট্য। দুর্বল মেকিং। কৌশিক গাঙ্গুলীর একটি ছবির নাম করছি। 'শূন্য এ বুকে'। হল থেকে বেরিয়ে এসে মাথা ঝিমঝিম করছিল। 'জ্যাকপট' , মানসিক অত্যাচার বললেও কম বলা হয়। 'ব্রেকফেল' ঠিকঠাক লেগেছিল। Very Frankly Speaking শুধুমাত্র পরমব্রত , স্বস্তিকা আর অনু কাপুরের জন্য। গল্প মোটেই ভালো নয়। 'আরেকটি প্রেমের গল্প' আমি দেখিনি। 'রংমিলান্তি' দেখলাম। বিশ্বাস করুন। গল্প ভালো লাগেনি। অযৌক্তিক। কিন্তু মেকিংটা অসাধারণ লাগল। বাহ। তারপর পরপর দেখলাম C/O Sir, Laptop, শব্দ। ঠুকে ঠুকে খেলা লোকটা হঠাৎ তিনিতে ব্যা

আমাদের প্রতিদিনের ঘিরে থাকা মিথ্যেরা

স্ব রূপ আমার বন্ধু। পাড়াতেই থাকে। পাড়ায় দেওয়াল পত্রিকা করার সূত্র ধরে ওর সাথে ঘনিষ্টতা এবং বন্ধুত্ব। ওর হাত ধরেই নাটকের আঙ্গিনায় প্রবেশ। ছেলেটা বড় ভালো। ইমোশোনাল, গোঁয়ার, সক্রিয় রাজনীতির সাথে যুক্ত। দেখতে শুনতে সেরকম ভালো নয় তবে চালাক চতুর। সমস্যা একটাই। মেয়েদের বড্ড ভয় পায়। আগ বাড়িয়ে কথা বলা তো দূর অস্ত যেখানে মেয়ে, ও তার উল্টো দিকে। আমরা বন্ধু মহলে যখন মেয়ে নিয়ে নানারকম আলোচনায় ব্যস্ত, স্বরূপ তখন ক্রমশ চলে যায় অন্য কোনো বিষয়ে। সিনেমার নায়িকাদের প্রতি তার কোনো ইন্টারেস্ট নেই। বাঘা বাঘা সব নায়িকাদের সিনেমা তো দূর, সে তাদের ছবিও দেখেনি এখনও। মোদ্দা কথা হল, আমরা সকলেই জানতাম, স্বরূপ মেয়েদের নিয়ে কোনোরকম কৌতুহল দেখায় না। মেয়েদের প্রতি ওর রাগ ঘৃণা ভালোবাসা আগ্রহ কোনো কিছুই নেই। একদিন দুজন মিলে বইমেলায় যাচ্ছি। মাঝপথে হঠাৎ কি কথা প্রসঙ্গে স্বরূপ নিজের খোলস ছাড়াতে শুরু করে। কথায় কথায় জানিয়ে দেয় তার আশেপাশের বাড়িতে যত মেয়ে রয়েছে প্রায় প্রত্যেকের সাথেই তার কখনও না কখনও শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। শুধু মেয়ে নয়, আশে পাশের বাড়ির কিছু বিবাহিত যুবতী মহিলার সাথেও তার অনেক গভীর সম্পর্ক। এই মেয়েদের মধ্

এরপরেও কি আপনি বলবেন 'গর্ভপাত নিপাত যাক !!!'

এতদিন গর্ভপাতকে আপনারা নিশ্চয় অন্যায় ভেবে এসেছেন?? সেটাই তো ভাবা উচিত?? আসুন এবার আমি আপনাকে একটু অন্যরকম ভাবে জিনিসটা দেখানোর চেষ্টা করি। লজিকটা বোঝার চেষ্টা করুন এবং যুক্তি নির্ভর বিরোধিতা করুন। বেকার নাকে কান্না কপচাবেন না প্লীজ। আসলে আপনারা বড় কুঁচুটে। সব সময় একপক্ষ বা এক দিক দেখেই বিচার করে ফেলেন। বড্ড বেশি ইমোশোনাল ফেকলু। একটু দুঃখু দেখলেই চোখ টশটশ করে। সবটাই ন্যাকামো বলছি না। কিন্তু যে পাপ নিজে দিনে সাঁইত্রিশ বার করেন সেটাই অন্য কেউ করলে আহা! কি নিষ্ঠুর বলে ডুকরে কেঁদে ওঠেন। 'রাস্তায় মানুষটা পরে রয়েছে, আহা কেউ এসে একটু সাহায্য করছে না কেন' বলে টিভিতে বাইট দিতে পারেন কিন্তু নিজে এক পা নড়তে পারেন না। যাই হোক, মোদ্দা কথা হল, অনিচ্ছাকৃত শিশু গর্ভে এসে গেলে অনেকেই গর্ভপাত করে থাকেন। সোজা বাংলায় যাকে Abortion বলে। অনেককেই দেখেছি এই গর্ভপাত নিয়ে খুব আঁকু-পাকু করে থাকেন। বলা যায় না, কিছুদিন পর তারা এটাও বলতে পারেন, কনডোম পরে সেক্স করা মানে একটি 'প্রায় হয়ে যাওয়া শিশুর হত্যা' ইত্যাদি। যে শিশুকে বাবা-মা জন্ম দিতে চাইছে না, তাকে আইনের ভয় দেখিয়ে জন্ম দেওয়া ক

৫ হাজার টাকার কমেও আমরা বানিয়ে ফেলেছি ২৫ মিনিটের একটি আস্ত সিনেমা । অবিশ্বাস্য বইকি !!

যেখানে বড় বড় পরিচালকেরা কোটি কোটি টাকা ছাড়া কিছু ভাবতে পারছে না, সেখানে শুধু ইচ্ছাশক্তি সম্বল করে এবং মাত্র ৫ হাজার টাকার কমেও আমরা বানিয়ে ফেলেছি ২৫ মিনিটের একটি আস্ত সিনেমা। মাত্র একদিনের শুটিং-এই কেল্লাফতে। ধন্যবাদ শ্রী উত্তম দত্ত মহাশয়কে যিনি আমাদেরকে তার বাড়িতে শুটিং করার অনুমতি দিয়েছেন কোনো টাকা পয়সা না নিয়েই। ক্যামেরা ব্যাবহার করা হয়েছে - Sony Z7P ( Rent per day 1200/- ) সম্পূর্ণ শুটিং আউটডোরে হওয়ায় আলাদা করে লাইটিং-এর কোনো প্রয়োজন হয় নি। অভিনেতারা সকলেই তাদের কাজের জন্য কোনো পরিশ্রমিক নেন নি। তাদের ধন্যবাদ। বাকী ৩০০০ টাকা লেগেছে যাতায়াত - টিফিন - মেকাপের সামগ্রী ইত্যাদিতে। খুউব শীঘ্র নন্দনে আমরা এটি প্রদর্শনী করতে চলেছি। আপনাদের আশির্বাদ কাম্য। আমরা বিশ্বাস করি ভালো সিনেমা বানাতে টাকার থেকেও বেশী প্রয়োজন শুভবুদ্ধি এবং ভালো কাজ করার আগ্রহ।

চতুষ্কোণ - আসলে তো সেই ত্রিকোণ প্রেমের গল্পই

এক টিকিটেই অনেকগুলো সিনেমা দেখে ফেলার সুযোগ রয়েছে 'চতুষ্কোণ' সিনেমায়। অনেকগুলো বলতে মোটে চারটে। এর আগে এক সিনেমায় দশটা ছবি দেখার অভিজ্ঞতা যাদের রয়েছে তারা বলবে এ আর এমন কি। ঠিক কথা। তবে সেখানে দশটা সম্পূর্ণ আলাদা। কোনো যোগসূত্র নেই। ইদানিং সন্দীপ রায়ের 'চার'-ও সেই একই রকম। কোনো যোগসূত্র নেই। প্রসঙ্গত বলে রাখি দারুণ দারুণ কিছু গল্প সম্বলিত 'চার' একটি অতি অখাদ্য বোরিং বাজে মেকিং-এর সিনেমা। কিছু বছর আগে সুমন মুখোপাধ্যায় তার 'মহানগর@কলকাতা' সিনেমায় আলাদা আলাদা তিনটে গল্পকে শেষ মেশ অতি নিপুণ দক্ষতায় এক যোগসূত্রে এনে বেধেঁ ছিলেন। যদিও এখনো আমি সুমনের 'মহানগর@কলকাতা'কেই বেশী এগিয়ে রাখবো শ্রীজিতের 'চতুষ্কোণ'-এর থেকে। সেই ছবিতে অঞ্জন দত্ত, বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়, একটি ছোটো জায়গায় কবীর সুমন ফাটিয়ে অ্যাক্টিং করেছিলেন। যাই হোক এখানে এসব আলোচনা করছি কেন? এটা তো 'চতুষ্কোণ' নিয়ে আলোচনা। যেটা বলছিলাম, এক টিকিটে অনেকগুলো সিনেমা দেখে ফেলার মজার সাথে সাথে এক টিকিটে অনেকগুলো সিনেমা মনে করিয়ে দেওয়ার মত ঘটনাও এখানে ঘটেছে। শ্রীজিত অনুগামী এবং তার চাটু

নারী স্বাধীনতা নিয়ে আমার ব্যাক্তিগত কিছু সংশয়

বাবারা জানে মেয়ে ছোটো জামা পরে রাস্তায় বেরোলে ছেলেরা কু-নজর দেবে। টিটকিরি দেবে। অন্ধকার রাস্তায় সুযোগ পেলে হাত ধরে টান দেবে। দলে আরো কিছু ছেলে থাকলে হয়তো বল পূর্বক ধর্ষণ করবে। খারাপ মানুষরা যেহেতু খারাপ-ই তাই তারা খারাপ কাজ-ই করবে। চোর চুরি করে বলেই আমরা ঘরে তালা দিয়ে বেরোই। আজ অবধি কাউকে দেখিনি চোরকে 'চুরি করা অন্যায়' জ্ঞান দিয়ে নিজের ঘর খোলা রেখে নিশ্চিন্তে দীঘা বেড়াতে গেছেন। ধর্ষককে জ্ঞান দিয়ে যে কোনো লাভ হবে না সেটা বাবা মায়েরা জানে। তাই তারা তাদের সন্তানকেই উপদেশটা দেন। সন্তান ছেলে হোক কি মেয়ে , বাবা মায়েরা জানে রাত একটায় রাস্তায় ঘুরলে সেটা বিপজ্জনক। ছেলে ঘুরলেও বিপজ্জনক, মেয়ে ঘুরলেও বিপজ্জনক। ছেলেকে মানা করলে সে শোনে না। উলটে তার বীরত্বের ফিরিস্তি শোনায়। মেয়েকে না করলে সেও শোনে না। 'এটা নারী স্বাধীনতার যুগ, আমার যে পোশাক পরতে ভালো লাগে সেটাই পরব' বলে রাস্তায় বেরিয়ে যায়। মেয়ে বোঝে না। নারি স্বাধীনতার যুগ সেটা এই বাবা জানে, এই মেয়ে জানে। কিন্তু যে ধর্ষণ করবে সে সেটা জানেও না, মানেও না। নিজের বাড়ির মেয়েদের রক্ষার্থে যে বাবা-মা তাদের রাতের বেলায় একা বেরোতে বা ছো

শুরুর খানিক

শুরুর খানিক মৃণাল মানিক / অন্তে সুভাষ ঘাই হঠাৎ কেন ? প্রতিদিন ফাঁকা সময় বিশেষ করে কোথাও যাওয়া আসার পথে মাথায় কিলবিল করে শব্দের   নাতি - পুঁতি দাদু দিদারা। রোজ ঘুমোনোর আগে তাদের বিসর্জন দিয়ে দিই মশারির জালে। পরদিন নতুন দিন , আবার মাথা খেতে শুরু করে নতুন শব্দরা। এই করেই মশারি আমার ছিঁড়ে যায় দুদিন যেতে নে যেতেই। জ্বালাতন দূর করতেই আশ্রয় নিতে হোলো এই আন্তর্জালের।   after all  সবই তো জঞ্জাল।