আমাদের প্রতিদিনের ঘিরে থাকা মিথ্যেরা
নতুন শাড়ি পরে বউ সামনে এসে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস
করল ‘কেমন লাগছে?’ বুকে হাত দিয়ে বলুন দেখি ক’টা পুরুষের ক্ষমতা আছে সত্যি কথা
বলার। আসলে প্রশ্নকর্তা নিজেও যে মিথ্যেটাই শুনতে চাইছে। ছোট শিশুকে বাবা ঘুম
পাড়িয়ে দিচ্ছে, বলছে ‘ঘুমিয়ে পড়, কাল তোমায় খেলনা কিনে দেব’। স্বামীর হাতে প্রচুর
মার খেয়েও মেয়ে তার মা-কে ফোনে বলছে ‘চিন্তা কোরো না, আমি ভালো আছি’। ক্যান্সারে
আক্রান্ত বাবা, বড়জোর দু-তিন মাস। ছেলে হাসপাতালে দেখা করতে এসে বলছে ‘আগামী বছর
তোমায় হরিদ্বার নিয়ে যাব’। বেশ করি মিথ্যে কথা বলি। কেন বলব না? যে মিথ্যে কারো
কোনো ক্ষতি করে না, সে মিথ্যে সত্যের থেকেও সুন্দর। (পুরোটা পড়তে এখানে ক্লিক করুন)
এরপরেও কি আপনি বলবেন 'গর্ভপাত নিপাত যাক !!!'
আসলে আপনারা বড় কুঁচুটে। সব সময় একপক্ষ বা এক দিক দেখেই বিচার করে ফেলেন। বড্ড বেশি ইমোশোনাল ফেকলু। একটু দুঃখু দেখলেই চোখ টশটশ করে। সবটাই ন্যাকামো বলছি না। কিন্তু যে পাপ নিজে দিনে সাঁইত্রিশ বার করেন সেটাই অন্য কেউ করলে আহা! কি নিষ্ঠুর বলে ডুকরে কেঁদে ওঠেন। 'রাস্তায় মানুষটা পরে রয়েছে, আহা কেউ এসে একটু সাহায্য করছে না কেন' বলে টিভিতে বাইট দিতে পারেন কিন্তু নিজে এক পা নড়তে পারেন না। (পুরোটা পড়তে এখানে ক্লিক করুন)
ফাঁকা বাসে পরিবর্তন প্রত্যাবর্তন
ফাঁকা বাসে পরিবর্তন প্রত্যাবর্তন
দমদম অবধি বাসটা ফাঁকাই এল। ফাঁকা বলতে আপনার মনে যে ছবি ভেসে আসে সে রকম নয় মোটেই। সীট একটিও খালি ছিলো না। দু-পাঁচ জন দাঁড়িয়েও ছিলো। সন্ধ্যে সাতটায় এটাকে বেশ ফাঁকাই বলা যায়। আমি বসে ছিলাম শেষের দিকে।
দমদম ব্রীজের নীচে আসতেই দরদর করে লোক উঠতে শুরু করল। পাঁচ গুণ মানুষে ঠাসাঠাসি ভীড়। ভুল হলো খুব। পরের স্টপেজেই আমি নামব। দমদম আসতেই আমার এগিয়ে আসা উচিত ছিলো। অমূল্য সময় নষ্ট করেছি। সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। এখন নামতে গেলে আমায় লড়াই করতে হবে। জামার বোতাম অথবা জুতোর ফিতে ছিঁড়তে হবে। ভুল করেছি। কি আর করা যাবে!!!
'গেটে দাঁড়াবেন না, গেটে দাঁড়াবেন একদম ...।' এখন জানলায় বসে বাইরে দাঁড়ানো কন্ডাক্টরকে দেখছি। সমানে বলে যাচ্ছে, 'সকলে পিছনের দিকে এগিয়ে যান'।
আমরা ফিল্ম মেকার নই, আমরা জোগাড়ে
বিশ্বের কথা বলতে পারব না। ভারতের কথাও জানা নেই। মোটামুটি ভাবে এই কলকাতার ছেলেদের কথা বলতে
পারি। ছেলে বলতে শুধু ছেলে নয়। মেয়েরাও আরকি!! তবে তারা সব শুধু ছেলে মেয়ে নয়। কেউ কেউ বুড়োও আছেন তাতে। মানে বলতে চাইছি এই কলকাতায় বা কলকাতার
আশেপাশে যারা নিজেদের মত করে সহায় সম্বলহীন অবস্থায় সিনেমা বা ডকুমেন্টারি বা ঐ জাতীয় কিছু একটা করছেন বা করতে চাইছেন । হ্যাঁ তাদের কথা বলতে
পারি। (পুরোটা পড়তে এখানে ক্লিক করুন)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন