সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রাজনীতি

তৃণমূলের পাল্টা মিছিল আরো ব্যাপকভাবে প্রমাণ করে
এই আন্দোলন এখন ভীষণ ভাবেই রাজনৈতিক ........ 

 
একটি মেয়ের গুরুতর অভিযোগ কিন্তু কতৃপক্ষ শুনছে না। তাই আন্দোলন। কতৃপক্ষ অন্যায় করেছে। তাই আন্দোলন। ছাত্রদের অনড় অবস্থান। কতৃপক্ষ পুলিশ ডেকে মার খাওয়ালো। আরো অন্যায়। একদম-ই অনুচিত।

ছাত্রদের আন্দোলন আরো বড় আকার ধারণ করল। দিকে দিকে মানুষ তাদের সহমত দিল। সকলের মুখেই একটা দাবী 'VC-র পদত্যাগ চাই'। ঠিক কথা। এতবড় অন্যায় উনি করে উনি ওনার Dignity হারিয়েছেন। ছাত্রদের কলরব  'VC-র পদত্যাগ চাই'।  'VC-র পদত্যাগ চাই'।



যেসব সাধারণ মানুষ মিছিলে হাটঁলেন তাদের-ও এককথা। 'VC-র পদত্যাগ চাই'। 'VC-র পদত্যাগ চাই' এটাই এখন মুখ্যদাবী হয়ে উঠল। ভীড়ের ঠেলায় পিছনের সারীতে চলে গেল সেই মেয়েটার অভিযোগ এবং তাকে গুরুত্ব কেন দেওয়া হচ্ছে না সেই প্রশ্ন।

প্রত্যক্ষ করলাম কিভাবে সাধারণ ছাত্রদের একটি অরাজনৈতিক দাবী নিয়ে সোচ্চার হওয়ার ঘটনাকে রাজনৈতিক মদতপুষ্ট ছাত্র সংগঠন নিজেদের সুবিধায় হাইজ্যাক করে নেয়।'মেয়েটির প্রতি অবিলম্বে সুবিচার চাই' দাবী 'VC-র পদত্যাগ চাই' দাবীতে পরিণত হওয়া দেখে তো এটাই মনে হয়।

তৃণমূলের পাল্টা মিছিল আরো ব্যাপকভাবে প্রমাণ করে এই আন্দোলন এখন ভীষণ ভাবেই রাজনৈতিক।

প্রসঙ্গত যাদবপুরের আন্দোলনের এক দুইদিন আগেই কিন্তু সারা দেশজুড়ে মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় জারি হয়েছে রেড অ্যালার্ট। মাওবাদীরা ক্রমশ নিজেদের সমস্ত সংগঠনকে চাঙ্গা করতে চাইছে বলে দেশীয় সূত্রে খবর।
আজ এই মহালয়ার পুর্ণ্যতিথিতে একজন বিবেচক রাজ্যবাসী হিসেবে কামনা করি দেশে যেন শান্তি বিরাজ করে এবং দুষ্টবুদ্ধির বিনাশ হয়। 

(23rd September, 2014)

.......................................................................................................................................... 

জাদুকর সরকার একজন নাতাই রাস্তায় নামলেন বিষকন্যা . . . .

মমতা ব্যানার্জীর বা তার সরকারের জনপ্রিয়তা দিন দিন কমছে অবশ্যই কমছে অনেকের মতেই কারণ হোলো সব ব্যাপারেই মমতার সিপিএম জুজু কেউ রেপড হলে সিপিএম করেছে বা সাজানো ঘটনাকেউ মিটিং শুনতে একটু বেশী এগিয়ে এলে ব্যাটা নির্ঘাত মাওবাদী ইত্যাদি

মতটি মোটেই ফেলনা নয় কিন্তু আমার মনে হয় সব থেকে ভয়ঙ্কর যে কারণটি সেটি হোলো সমস্ত তৃণমূল নেতা,মন্ত্রী সকলেই কিছুঅনভিপ্রেত ঘটলেই এক বাক্যে পাখী পড়ার মত করে বলে যাচ্ছেন ''এগুলো কি নতুন কিছু ঘটনা?? ৩৪বছর কি এরকমটা হয়নি?'' বা এই গোছের কিছু এরকম বলার অন্তর্নিহিত অর্থ যে কি হতে পারে সেটা মূর্খেরাও বুঝবে ''এতদিন তো এরকমটাই দেখে এসেছেন দাদা, এখন এত কথা বলছেন কেন?''

এতদিন দেখে এসেছি কথা সত্য, আর দেখতে চাইনা বলেই তো আপনাদেরকে ক্ষমতায় এনেছিলাম এখন আপনারাও যদি এই গীত শোনান তবে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবেই এবং আমরা ভাবছি

আশা করা যায় আগামী পঞ্চায়েত ভোটেই তার কিছুটা পূর্বাভাস আপনারা পেতে চলেছেন এরপরেও যদি না শুধরোন তো ঈশ্বরও কিন্তু টেলিফোনটা নামিয়ে রাখবেন

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

এরপরেও কি আপনি বলবেন 'গর্ভপাত নিপাত যাক !!!'

এতদিন গর্ভপাতকে আপনারা নিশ্চয় অন্যায় ভেবে এসেছেন?? সেটাই তো ভাবা উচিত?? আসুন এবার আমি আপনাকে একটু অন্যরকম ভাবে জিনিসটা দেখানোর চেষ্টা করি। লজিকটা বোঝার চেষ্টা করুন এবং যুক্তি নির্ভর বিরোধিতা করুন। বেকার নাকে কান্না কপচাবেন না প্লীজ। আসলে আপনারা বড় কুঁচুটে। সব সময় একপক্ষ বা এক দিক দেখেই বিচার করে ফেলেন। বড্ড বেশি ইমোশোনাল ফেকলু। একটু দুঃখু দেখলেই চোখ টশটশ করে। সবটাই ন্যাকামো বলছি না। কিন্তু যে পাপ নিজে দিনে সাঁইত্রিশ বার করেন সেটাই অন্য কেউ করলে আহা! কি নিষ্ঠুর বলে ডুকরে কেঁদে ওঠেন। 'রাস্তায় মানুষটা পরে রয়েছে, আহা কেউ এসে একটু সাহায্য করছে না কেন' বলে টিভিতে বাইট দিতে পারেন কিন্তু নিজে এক পা নড়তে পারেন না। যাই হোক, মোদ্দা কথা হল, অনিচ্ছাকৃত শিশু গর্ভে এসে গেলে অনেকেই গর্ভপাত করে থাকেন। সোজা বাংলায় যাকে Abortion বলে। অনেককেই দেখেছি এই গর্ভপাত নিয়ে খুব আঁকু-পাকু করে থাকেন। বলা যায় না, কিছুদিন পর তারা এটাও বলতে পারেন, কনডোম পরে সেক্স করা মানে একটি 'প্রায় হয়ে যাওয়া শিশুর হত্যা' ইত্যাদি। যে শিশুকে বাবা-মা জন্ম দিতে চাইছে না, তাকে আইনের ভয় দেখিয়ে জন্ম দেওয়া ক

৫ হাজার টাকার কমেও আমরা বানিয়ে ফেলেছি ২৫ মিনিটের একটি আস্ত সিনেমা । অবিশ্বাস্য বইকি !!

যেখানে বড় বড় পরিচালকেরা কোটি কোটি টাকা ছাড়া কিছু ভাবতে পারছে না, সেখানে শুধু ইচ্ছাশক্তি সম্বল করে এবং মাত্র ৫ হাজার টাকার কমেও আমরা বানিয়ে ফেলেছি ২৫ মিনিটের একটি আস্ত সিনেমা। মাত্র একদিনের শুটিং-এই কেল্লাফতে। ধন্যবাদ শ্রী উত্তম দত্ত মহাশয়কে যিনি আমাদেরকে তার বাড়িতে শুটিং করার অনুমতি দিয়েছেন কোনো টাকা পয়সা না নিয়েই। ক্যামেরা ব্যাবহার করা হয়েছে - Sony Z7P ( Rent per day 1200/- ) সম্পূর্ণ শুটিং আউটডোরে হওয়ায় আলাদা করে লাইটিং-এর কোনো প্রয়োজন হয় নি। অভিনেতারা সকলেই তাদের কাজের জন্য কোনো পরিশ্রমিক নেন নি। তাদের ধন্যবাদ। বাকী ৩০০০ টাকা লেগেছে যাতায়াত - টিফিন - মেকাপের সামগ্রী ইত্যাদিতে। খুউব শীঘ্র নন্দনে আমরা এটি প্রদর্শনী করতে চলেছি। আপনাদের আশির্বাদ কাম্য। আমরা বিশ্বাস করি ভালো সিনেমা বানাতে টাকার থেকেও বেশী প্রয়োজন শুভবুদ্ধি এবং ভালো কাজ করার আগ্রহ।

সুখী মানুষের সেরা সময় ...

সেই চোদ্দ পনের বছর বয়সের দিনগুলো, যখন ডানাটা গজিয়েছে সবে, যখন এই চেনা বৃত্ত থেকে উড়ে বেরিয়ে যাওয়ার স্বপ্নে আচ্ছন্ন এই মন। যখন খবরের কাগজে সামান্য কিছু বিজ্ঞাপন। সেই সময়টাই তো সেরা সময়, আমার সময়, সেই সময়ের গান, সেই সময়ের সিনেমা, সেই সময়ের কবিতা, সেই সময়ের রিক্সাওয়ালা, দোকানদার, কন্ডাকটার, সেই সময়ের আকাশ, সেই সময়ের বৃষ্টি, সেই সময়ের গরম, সেই সময়ের আম, সেই সময়ের ইলিশ, সেই সময়ের অষ্টমী, সেই সময়ের কালিপটকা। প্রথম সমুদ্র দেখা কিশোর ছেলেটার মুখ হা হয়ে আছে। বালির উপর প্রথমবার লিখছে নিজের নয়, নিজের প্রেমিকার নাম। সেইটাই তো সেরা সময়। ফিরতে হলে সেখানেই ফিরব। একটাই কোনো ছাদের থেকে উড়ছে এ পাড়ার সবক ’টা ঘুড়ি। ঘুড়িতে ঘুড়িতে ঢেকে যাচ্ছে আকাশ। সাদা ধবধবে কাগজে কারো হাতের লেখায় নিজের নাম। সাথে লালকালীতে করা কারুকাজ। বুকপকেটের কুঠুরীতে বহুদিন সযত্নে  তুলে রাখা ছিল সেই সম্পদ। তারপর কাগজের গুড়ো একদিন উড়ে যায় বসন্তের হাওয়ায় । আহা সে কি সময় ছিল। স্কুলের টিফিনে বারান্দা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া এরোপ্লেন। জানলা দিয়ে ভাসিয়ে দেওয়া কাগজের নৌকো। ছুটে এসে রাস্তায় পড়ে থাকা জলের বোতলে ফুটবলের শট। ঘরের দেওয়ালে শচীনের