সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সিনেমা

আমরা বানিয়েছি মাত্র ৫ হাজার টাকায় ২০ মিনিটের সিনেমা

যেখানে বড় বড় পরিচালকেরা কোটি কোটি টাকা ছাড়া কিছু ভাবতে পারছে না, সেখানে শুধু ইচ্ছাশক্তি সম্বল করে এবং মাত্র ৫ হাজার টাকার কমেও আমরা বানিয়ে ফেলেছি ২৫ মিনিটের একটি আস্ত সিনেমা। মাত্র একদিনের শুটিং-এই কেল্লাফতে।

পুরো শুটিং-এর বিবরণ জানতে ও ছবি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। 


আসুন খাদে নামি  

আপনারা ভাবছেন, খাদ কোথায় ? আমি তো কৌশিক গাঙ্গুলীকে নিয়ে ফিরিস্তি গাইছি। আরে বাবা কে সি দাসের রসগোল্লা নিয়ে লিখতে বলা হলে আমি তো কে সি দাসকে নিয়েই আগে লিখব। রসগোল্লা নিয়ে আর নতুন কিই বা লেখার আছে, ওটা তো খাওয়ার জিনিস। আমি খাদে নেমে কি করব বলুন তো। খাদের চারপাশেই ঘোরাফেরা করি বরং।

সিনেমা শুরুই হচ্ছে বেশ কিছু এক শালিখ দেখিয়ে। আমি এই একটি ব্যাপারে বড্ড কুসংস্কারী। এক শালিখ সহ্য করতে পারি না। কিন্তু এই এক শালিখ তো আমি দেখছি না। দেখছে পর্দার মানুষ জন। কেউ একজন যখন দেশভাগের কথা বলে, ঠিক তার পরমুহুর্তেই পর্দায় ফুটে ওঠে একটি গাছের শাখা যার দুটি বৃন্তে এক গোঁছা ফুল ফুটে আছে। লিলি চক্রবর্ত্তী যখন সজ্জায় ব্যস্ত তখন আকুল নয়নে গার্গীর তাকিয়ে থাকার মধ্যে আপনি কি খুঁজে পাবেন সেটা আপনার নিজস্ব। চুপ থাকা মানুষটি যখন কথা বলে ওঠে কি বলে সেটা বুঝে নেওয়া আপনার দায়িত্ব। (
পুরোটা পড়তে এখানে ক্লিক করুন)

চতুষ্কোণ - আসলে তো সেই ত্রিকোণ প্রেমের গল্পই 

শ্রীজিত অনুগামী এবং তার চাটুকাররা হয়ত আমার উপর রেগে যাবে কিন্তু আমি কি করব বলুন যদি এই সিনেমাটা দেখে আমার যথাক্রমে 'ডরনা মানা হে' , 'দ্য সিক্সথ সেন্স' , টেবিল নম্বর ২১' ইত্যাদি সিনেমার কথা মনে পড়ে যায়??

আপনারা ভাবছেন, আমার বোধহয় 'চতুষ্কোণ' ভালো লাগে নি। আপনারা মূর্খ। ভালো না লাগলে কি আমি প্রায় ৩০ মিনিট সময় নষ্ট করে এটি লিখতাম। বরং শ্রীজিতের কাছে অন্তত আমি এরকম সিনেমাই আশা করি। মাঝখানে কি প্যানপ্যানানি মার্কা 'মিশর রহস্য' বা 'জাতিস্মর' ইত্যাদি বানান শুরু করেছিলো। ধূর ধূর!! এটাই তো শ্রীজিতের আসল ঘরানা। শ্রীজিতের সিনেমা দেখে বেরিয়ে আমি ভাবতে শিখব - পৃথিবীর সব আত্মহত্যার জন্য কেউ না কেউ দায়ী। (পুরোটা পড়তে এখানে ক্লিক করুন।)



বুনোহাঁস দেখে 

বুনোহাঁস দেখে এলাম সিনেমাটির সব ভালো, কিন্তু সিনেমাটি শেষ হলো না হাফ টাইমে গল্প যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলো লাস্ট সিনেও গল্প সেখানেই রয়ে গেলো মূল উপন্যাস আমি পড়িনি, তাই সেটায় কি ছিলো জানি না সিনেমায় সব থেকে ভালো অ্যাকটিং করেছে দেব (কেউ কোনো প্রশ্ন করলে আমি ব্যাপারটা বুঝিয়ে দিতে পারি)
তবে এই সিনেমা দেখে আমি যেটা শিখলাম, পুনেতে কোনো হোটেলে আপনি দুটো নকল হাজার টাকার নোট দিলে তারা আপনাকে তিনটে নকল হাজার টাকার নোট ফেরত দেয়। সত্যি দেয় কি?? পরিচালক টোনি- সাথে দেখা হলে আমি সবার আগে এই প্রশ্নটাই করতাম
হ্যাঁ, সারা সিনেমায় বোধহয় একটাই গান গোটা ঊনচল্লিশ বার শোনানো হয়েছে। একটাই তো গান বোধহয় শুনতে পেলাম, তার জন্য ঘটা করে তিনদিন এবিপি আনন্দে 'বুনোহাঁসের গান' নিয়ে অনুষ্ঠান করার অর্থ খুঁজে পেলুম না



আলিয়া ভট্ট এবং পরিনীতি চোপড়া 

আলিয়া ভট্ট এবং পরিনীতি চোপড়া এই দুই সমসাময়িক অভিনেত্রীর প্রায় সবকটি সিনেমাই আমি দেখেছি পরিনীতিকে প্রথম দেখি 'লেডিস ভার্সেস রিকি বেহেল' সিনেমায় থার্ড লিড হিরোইন ছিলো কিন্তু সেই সিনেমায় আমার মনে সব থেকে বেশি সেই দাগ কাটে

অপরদিকে আলিয়া ভট্ট - প্রথম সিনেমা 'স্টুডেন্ট অফ দি ইয়ার' আমি প্রথম ১৫/২০ মিনিট দেখে বন্ধ করে দিই। তারপর 'হাইওয়ে' দেখে আলিয়াকে একটু একটু ভালো লাগতে শুরু করে। 'টু স্টেটস' দেখে মনে হয় ঠিকঠাক। 'হাম্পটি শর্মা কি দুলহানিয়া' তেই তার অভিনয় আমার নজর কাড়ে।

ফিরে আসি পরিনীতির কথায়। না জানি কেন 'ইসকজাদে' আমি কিছুটা দেখার পর বন্ধ করে দিয়েছিলাম, ইচ্ছে আছে আবার একবার দেখার চেষ্টা করার। যাই হোক, এর পর থেকে একের পর এক সিনেমায় সে নিজেকে উত্তরোত্তর প্রমাণ করতে থাকে। 'শুদ্ধ দেশি রোমান্স' নামক একটি অতি বাজে সিনেমা আমি শুধু পরিনীতির অভিনয়ের কারণেই গোটাটা দেখি। 'হাসি তো ফাসি' আমি কয়েকবার দেখেছি শুধু পারিনীতির অভিনয় দেখার জন্য। কোনো হিরোইনের শুধু অভিনয় দেখার জন্য আমি এর আগে কোনো সিনেমা দ্বিতীয়বার দেখেছি বলে আমার মনে পড়ে না।

এক কথায় দু'জনকে বর্ণনা করতে হলে আমি বলব, আলিয়ার মধ্যে ফ্রেসনেস ব্যাপারটা বেশী পরিমাণে রয়েছে। আর পরিনীতির মধ্যে রয়েছে প্রচুর এনার্জি। এখনো অনেক পথ চলা বাকি দুজনেরই। দুইজনকেই শুভেচ্ছা

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

এরপরেও কি আপনি বলবেন 'গর্ভপাত নিপাত যাক !!!'

এতদিন গর্ভপাতকে আপনারা নিশ্চয় অন্যায় ভেবে এসেছেন?? সেটাই তো ভাবা উচিত?? আসুন এবার আমি আপনাকে একটু অন্যরকম ভাবে জিনিসটা দেখানোর চেষ্টা করি। লজিকটা বোঝার চেষ্টা করুন এবং যুক্তি নির্ভর বিরোধিতা করুন। বেকার নাকে কান্না কপচাবেন না প্লীজ। আসলে আপনারা বড় কুঁচুটে। সব সময় একপক্ষ বা এক দিক দেখেই বিচার করে ফেলেন। বড্ড বেশি ইমোশোনাল ফেকলু। একটু দুঃখু দেখলেই চোখ টশটশ করে। সবটাই ন্যাকামো বলছি না। কিন্তু যে পাপ নিজে দিনে সাঁইত্রিশ বার করেন সেটাই অন্য কেউ করলে আহা! কি নিষ্ঠুর বলে ডুকরে কেঁদে ওঠেন। 'রাস্তায় মানুষটা পরে রয়েছে, আহা কেউ এসে একটু সাহায্য করছে না কেন' বলে টিভিতে বাইট দিতে পারেন কিন্তু নিজে এক পা নড়তে পারেন না। যাই হোক, মোদ্দা কথা হল, অনিচ্ছাকৃত শিশু গর্ভে এসে গেলে অনেকেই গর্ভপাত করে থাকেন। সোজা বাংলায় যাকে Abortion বলে। অনেককেই দেখেছি এই গর্ভপাত নিয়ে খুব আঁকু-পাকু করে থাকেন। বলা যায় না, কিছুদিন পর তারা এটাও বলতে পারেন, কনডোম পরে সেক্স করা মানে একটি 'প্রায় হয়ে যাওয়া শিশুর হত্যা' ইত্যাদি। যে শিশুকে বাবা-মা জন্ম দিতে চাইছে না, তাকে আইনের ভয় দেখিয়ে জন্ম দেওয়া ক

৫ হাজার টাকার কমেও আমরা বানিয়ে ফেলেছি ২৫ মিনিটের একটি আস্ত সিনেমা । অবিশ্বাস্য বইকি !!

যেখানে বড় বড় পরিচালকেরা কোটি কোটি টাকা ছাড়া কিছু ভাবতে পারছে না, সেখানে শুধু ইচ্ছাশক্তি সম্বল করে এবং মাত্র ৫ হাজার টাকার কমেও আমরা বানিয়ে ফেলেছি ২৫ মিনিটের একটি আস্ত সিনেমা। মাত্র একদিনের শুটিং-এই কেল্লাফতে। ধন্যবাদ শ্রী উত্তম দত্ত মহাশয়কে যিনি আমাদেরকে তার বাড়িতে শুটিং করার অনুমতি দিয়েছেন কোনো টাকা পয়সা না নিয়েই। ক্যামেরা ব্যাবহার করা হয়েছে - Sony Z7P ( Rent per day 1200/- ) সম্পূর্ণ শুটিং আউটডোরে হওয়ায় আলাদা করে লাইটিং-এর কোনো প্রয়োজন হয় নি। অভিনেতারা সকলেই তাদের কাজের জন্য কোনো পরিশ্রমিক নেন নি। তাদের ধন্যবাদ। বাকী ৩০০০ টাকা লেগেছে যাতায়াত - টিফিন - মেকাপের সামগ্রী ইত্যাদিতে। খুউব শীঘ্র নন্দনে আমরা এটি প্রদর্শনী করতে চলেছি। আপনাদের আশির্বাদ কাম্য। আমরা বিশ্বাস করি ভালো সিনেমা বানাতে টাকার থেকেও বেশী প্রয়োজন শুভবুদ্ধি এবং ভালো কাজ করার আগ্রহ।

সুখী মানুষের সেরা সময় ...

সেই চোদ্দ পনের বছর বয়সের দিনগুলো, যখন ডানাটা গজিয়েছে সবে, যখন এই চেনা বৃত্ত থেকে উড়ে বেরিয়ে যাওয়ার স্বপ্নে আচ্ছন্ন এই মন। যখন খবরের কাগজে সামান্য কিছু বিজ্ঞাপন। সেই সময়টাই তো সেরা সময়, আমার সময়, সেই সময়ের গান, সেই সময়ের সিনেমা, সেই সময়ের কবিতা, সেই সময়ের রিক্সাওয়ালা, দোকানদার, কন্ডাকটার, সেই সময়ের আকাশ, সেই সময়ের বৃষ্টি, সেই সময়ের গরম, সেই সময়ের আম, সেই সময়ের ইলিশ, সেই সময়ের অষ্টমী, সেই সময়ের কালিপটকা। প্রথম সমুদ্র দেখা কিশোর ছেলেটার মুখ হা হয়ে আছে। বালির উপর প্রথমবার লিখছে নিজের নয়, নিজের প্রেমিকার নাম। সেইটাই তো সেরা সময়। ফিরতে হলে সেখানেই ফিরব। একটাই কোনো ছাদের থেকে উড়ছে এ পাড়ার সবক ’টা ঘুড়ি। ঘুড়িতে ঘুড়িতে ঢেকে যাচ্ছে আকাশ। সাদা ধবধবে কাগজে কারো হাতের লেখায় নিজের নাম। সাথে লালকালীতে করা কারুকাজ। বুকপকেটের কুঠুরীতে বহুদিন সযত্নে  তুলে রাখা ছিল সেই সম্পদ। তারপর কাগজের গুড়ো একদিন উড়ে যায় বসন্তের হাওয়ায় । আহা সে কি সময় ছিল। স্কুলের টিফিনে বারান্দা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া এরোপ্লেন। জানলা দিয়ে ভাসিয়ে দেওয়া কাগজের নৌকো। ছুটে এসে রাস্তায় পড়ে থাকা জলের বোতলে ফুটবলের শট। ঘরের দেওয়ালে শচীনের